শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্কুলসহ আরো শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙ্গন আক্রান্ত

শিব শংকর রবিদাস, মো: আবু জাফর ও কমল রায় :
অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পদ্মা নদীর পর এবার শিবচরে আড়িয়াল খা নদেও ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নসহ ৬ ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙ্গন আক্রান্ত হওয়ায় ২৪ ঘন্টায় চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদ ও ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ চরের শতাধিক ঘর বাড়ি ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে উপজেলার ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদ আক্রান্ত হলো। ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝূকিতে রয়েছে একাধিক স্কুল ভবন,ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তার পক্ষ থেকে খাবার সহায়তা শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ২য় দফায় পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খা নদে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিবচরের চরাঞ্চলের চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন আক্রান্ত হওয়ায় চরজানাজাত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। এরআগে এই স্কুলের ৩টি ভবন ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ২০১৮ সালে নদীতে বিলীন হয়েছিল। চরাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়িসহ কয়েকদিনে ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে চরজানাজাতের একটি মাদ্রাসা ভবন।এছাড়াও ভাঙ্গন ঝূকিতে রয়েছে চরাঞ্চলেওে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবন , প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একটি বাজারসহ বিস্তৃর্ন জনপদ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে চরের কয়েক হাজার পরিবার। বন্যা কবলিত হয়ে বাড়ি ঘরে পানি ঢুকায় অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আড়িয়াল খা নদের ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়েছে বহেরাতলা দক্ষিন, সন্ন্যাসীরচর ও শিরুয়াইল ইউনিয়ন। শতাধিক ঘরবাড়ি রাস্তা ঘাট আক্রান্ত হয়েছে নদী ভাঙ্গনের। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাবার সহায়তা বিতরন করা হয়েছে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের স্কুলের ৩টি ভবন নদীতে বিলীন হয়। এরপর আমরা নতুন জায়গায় স্কুল করলেও সেটিও এ বছর ভাঙ্গন আক্রান্ত হওয়ায় সরিয়ে নিচ্ছি। চরের অনেক শিক্ষার্থীরা বাড়িঘর নদী ভাঙ্গন আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী স্যারের নির্দেশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দূর্গতদের মাঝে ত্রান ও খাবার সহায়তা দেয়া হচ্ছে।