ইউপি নির্বাচন : মাদারীপুরে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাই, নির্বাচন স্থগিত

মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়ামুল আকনের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিলো দুষ্কৃতিকারীরা। এসময় তাদের বাঁধা দিলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস, চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনকে মারধর করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কালকিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানালে রাত ৮টার দিকে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ ও চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়ামুল আকন জানান, আগামী ১৫ জুন উপজেলার এনায়েতনগর ও পূর্ব এনায়েতনগরসহ দুইটি ইউপিতে একই সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে পূর্ব এনায়েতনগর ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নেয়ামুল আকন বিকেল সাড়ে তিনটায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে আসেন। এ সময় আ’লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী দলিল উদ্দিন তালুকদারের কর্মী-সমর্থকরা নেয়ামুল আকনকে মনোনয়নপত্র দাখিলে বাঁধা প্রদান করেন। সেই সাথে তার মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাঁধা দিলে আহত হন উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস, চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়ামুল আকন ও তার স্ত্রী রেহানা বেগমসহ ৫ জন। এদের মধ্যে কয়েক জনকে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়ামুল আকন মনোনয়নপত্র দাখিল করতে আসলে কিছু দুষ্কাকারীরা তাকে মারধর করেছে এবং আমাকে কিল ঘুষি দিয়েছে। তারা নেয়ামুলের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার সময় কালকিনি থানার ওসি উপস্থিত ছিল। কিন্তু তার ভূমিকা রহস্যজনক ছিল। পরে বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানোর পর নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে।’
তবে অভিযোগের বিষয় আ’লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী দলিলউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘আমি মনোনয়পত্র ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত না। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। এতে আমার কিছু যায়-আসে না। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয় করার জন্যে মিথ্যে রটাচ্ছে।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘আমিসহ সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলাম। কিছু দুষ্কৃতিকারীরা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে আমি নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী নেয়ামুল আকনকে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে যাই। তবে তার মনোনয়নপত্র দুষ্কৃতিকারীরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানতে পারি। এখানে আমার কোন দোষ নেই। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যে তথ্য দেয়া হচ্ছে।’