মাদারীপুরে অপহরণ শেষে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে একটি হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যু দন্ড দিয়েছেন মাদারীপুরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস। সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। এ সময় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে ৪ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। একজন আসামি পলাতক রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আগগ্রামের গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্য ও দুই সন্তান। এমতাবস্থায় আমগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় আসলে জমিজমা বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। তখন রাধা রানী বৈদ্যকে ধরে নিয়ে যায় এবং দুই সন্তানকে বেদম মারপিট করে। এঘটনায় পরের দিন ১৫ অক্টোবর রাজৈর থানায় তরুণী বৈদ্য, গৌরাঙ্গ বৈদ্যসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ দায়ের করে। মামলায় এক আসামীকে গ্রেফতার করার পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে অপরহরেণ ১১ দিন পরে রাধা রাণী বৈদ্যের মৃতদেহ পাখুল্লার একটি বিল থেকে উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোখলেসুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময় গৌরাঙ্গ বৈদ্য মারা যায়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত সোমবার এ রায় প্রদান করেন। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন-আমগ্রাম এলাকার অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, তরনী বৈদ্য ও বিজয় বেপারী। প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিজয় বেপারী পলাতক রয়েছে।
মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমগ্রাম এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্যকে পাখুল্লার বিলে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে আসামিরা। হত্যাকান্ড ঘটার ১১দিন পর ওই বিল থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় বিজ্ঞ আদালতে ১১ জন সাক্ষী উপস্থাপন করি। অবশেষে বিজ্ঞ অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।”