কালকিনি প্রতিনিধি :
একটি মামলার সাক্ষী দেয়ার অপরাধে মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রায় দেড় মাস ধরে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ৪ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে এক প্রকার বন্দি করে রেখেছে প্রতিপক্ষ। এতে করে ঘর থেকে বেড় হতে না পেরে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করেছে ওই পরিবারগুলো। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারগুলো। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে । ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর এলাকার উত্তর চর আইরকান্দি গ্রামের সুজন শিকদার বাদী হয়ে প্রায় ১২ বছর আগে একই এলাকার তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদারীপুর কোর্টে একটি মারামারির মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর জিয়ার ৫২/২০১০ ইং। এ মামলায় সুজনের পক্ষে সাক্ষি দেন একই বাড়ির জাহাঙ্গির শিকদার, মনির শিকদার ও শওকাত শিকদার। তারা এই মামলায় সাক্ষি দেয়ার অপরাধে প্রায় দেড় মাস আগে আসামী তাইজুল ইসলামের নেতৃত্বে সালমান ও সাকিল মিলে মামলার সাক্ষী জাহাঙ্গির শিকদার, মনির শিকদার, শওকাত শিকদার ও নাসির শিকদারের বসতঘরের চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ওই চার পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে এক প্রকার বন্দি করে রাখে। এতে করে ওই চার পরিবারের ৩৫ জন সদস্য ঘর থেকে বের হতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুজন বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন।
শওকাত শিকদার ও নাসির শিকদারের পরিবারের সদস্যরা জানান, আমরা সুজনের মামলার সাক্ষী হওয়ার অপরাধে তাইজুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সকলের বসতঘরের চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে আমাদের বন্দি করে রেখেছে। আমরা ঘর থেকে বের হতে না পেরে মহাবিপদে আছি। আমরা এ বন্দি দশা থেকে মুক্তি চাই।
অভিযুক্ত তাইজুল ইসলাম বলেন, আমার জমিতে আমি বেড়া দিয়েছি। তাতে কার কি আসে যায়।
কালকিনি থানার এসআই মো. রাজিব হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।