বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রী ঢলে ফেরিতে জরুরী গাড়ি পারাপার বিঘ্নিত

শিব শংকর রবিদাস ও মিশন চক্রবর্ত্তী :
শুক্রবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ঢল নেমেছে ।বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী চাপ আরো বাড়ছে। যাত্রীদের চাপে ফেরিগুলোতে এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী গাড়ি পারাপার বিঘ্নিত হচ্ছে। শিমুলীয়া থেকে ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে ভেড়ার সাথে সাথে যাত্রীরা ফেরিতে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। যাত্রী চাপ সামাল দিতে খালি ফেরি আনা হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট থেকে । দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া দিয়ে দু চাক্কার মটরসাইকেল, ৩ চাক্কার ইজিবাইক থ্রী হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝূকি নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে প্রচন্ড গরমে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে চরম ঝূকি নিয়েও ফেরিতে উঠছেন। তবে বাংলাবাজার ঘাটে ফেরিতে নির্ধারিত ২৫ টাকাই আদায় করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ফেরি থাকলেও যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় বাংলাবাজার ঘাটে প্রখর রোদে যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির অপেক্ষায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচন্ড গরমে এদিনও কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ফেরিতে গাদাগাদি নিয়ন্ত্রনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে কঠোর নজরদারি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে শিমুলিয়া থেকেও এখনো অনেক যাত্রী দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেতে দেখা গেছে। অপরদিকে দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও এদিন খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। যাত্রীরা সেখান থেকে ভ্যান, ইজিবাইকে চড়ে ঘাটে আসেন। বাসগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হয় বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
বাংলাবাজার ঘাট পুলিশ বুথের ট্রাফিক ইন্সপ্ক্টের মো: আশিকুর রহমান বলেন, নির্বিঘ্নে যাত্রী পারাপারে ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। শিমুলীয়া থেকে আসা ফেরিগুলো থেকে আগে যাত্রী ও যানবাহন নামিয়ে তারপর যাত্রী বোঝাই করা হচ্ছে। ফেরিগুলোতে যেন গাদাগাদি করে যাত্রীরা উঠতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারী রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের পারাপার করতে শিমুলীয়া থেকে খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হচ্ছে।