মাদারীপুরে ৩৯ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে ৩৯ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৮। এ সময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে র‌্যাব-৮, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি দল কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে শেখ হাসিনা মহাসড়কের সদর উপজেলার আছমত আলী খান সেতুর টোল প্লাজার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও গাড়িসহ তাদের আটক করে।
বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাব-৮-এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানা গেছে, র‌্যাব-৮ মাদারীপুর গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান গাঁজা নিয়ে একটি সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসযোগে কুমিল্লা থেকে গোপালগঞ্জে যেতে তারা কুমিল্লা-চাঁদপুরঘাট-মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ রুট ব্যবহার করছে। এই সংবাদে তাদেরকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব তৎপর হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে র‌্যাব-৮, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি দল কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে শেখ হাসিনা মহাসড়কের সদর উপজেলার আছমত আলী খান সেতুর টোল প্লাজার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ টি প্যাকেটে থাকা ৩৯ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৯৩৫১) নম্বরের একটি সাদা নোহা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো- কুমিল্লার কোতয়ালী থানার আমতলী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী মোল্যার ছেলে মোঃ আল আমিন (৩২), কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানার উড়িয়াপাড়া গ্রামের কাজী আব্দুর রশিদের ছেলে কাজী আরিফ (২৩) এবং একই জেলার সদর দক্ষিন থানার দড়িবটক গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আসামীদের গাড়ী তল্লাশী করে উদ্ধার হওয়া ৩৯ কেজি গাঁজার মুল্য প্রায় ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ১টি সাদা নোহা, ৪টি মোবাইল, ৭টি সীমকার্ডসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সাড়ে ৫হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা-চাঁদপুরঘাট ব্যবহার করে গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পরিবহন করে আসছিল। ধৃত আসামীদেরকে উদ্ধারকৃত গাঁজা ও অন্যান্য আলামতসহ মাদারীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’