ভাগ্নের জন্মদিনের উপহার কিনতে যাওয়ার পথে শিবচরে ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেচিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

শিব শংকর রবিদাস :
ভাগ্নের জন্মদিনের উপহার কিনতে বড় বোনের বাড়ি থেকে ইজিবাইকে চড়ে শিবচরের ভদ্রাসন বাজারে যাওয়ার পথে ইজিবাইকের চাকার সাথে গলার ওড়না পেচিয়ে রাস্তায় পড়ে সালমা বেগম নামের এক গৃহবধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাত বছরের ভাগ্নে রাব্বির জন্মদিন উপলক্ষে গৃহবধু সালমা বেগম (২২) শনিবার বিকেলে জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের মজিদ ঢালীকান্দি গ্রাম থেকে শিবচরের ভদ্রাসন ইউনিয়নের বেপারীকান্দি গ্রামে দুলাভাই মিজানুর রহমানের বাড়ি বেড়াতে আসে। জন্মদিনে ভাগ্নের জন্য উপহার কিনতে সালমা বেগম সন্ধায় ফুফাতো ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনকে সাথে নিয়ে ইজিবাইকে চড়ে বেপারীকান্দি থেকে ভদ্রাসন বাজারে আসছিল। ইজিবাইকটি মোল্লাকান্দি এলাকায় আসলে অসাবধানতাবশত সালমা বেগমের গলার ওড়না ইজিবাইকের চাকার সাথে পেচিয়ে যায়। এতে মূর্হূতের মধ্যেই সে ইজিবাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় লুটিয়ে পরে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহত সালমা বেগম শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডেবা ইউনিয়নের মজিদ ঢালীকান্দি গ্রামের সালাম হাওলাদারের মেয়ে।
প্রতক্ষ্যদর্শী বিল্লাল হোসেন বলেন, ভাগ্নে রাব্বির জন্য জন্মদিনের গিফট কিনতে সালমা আপা আর আমি ইজিবাইকে চড়ে ভদ্রাসন বাজারে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যেই ইজিবাইকের চাকার সাথে আপার ওড়না পেচিয়ে আপা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে আনলে ডাক্টার বলে সে মারা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাংক চন্দ্র ঘোষ বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার শিকার এক নারীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শিবচর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইজিবাইকের চাকায় গলার ওড়না পেচিয়ে এক নারী নিহত হয়েছে। লাশটি তদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।