মাদারীপুরে মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

কালকিনি প্রতিনিধি :
একশত টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে মাদারীপুরের কালকিনির মোল্লারহাট ফাজিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী মো. দুলাল মোল্লার বিরুদ্ধে ১০ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। এদিকে ওই নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে একাধীকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের আত্মীয় বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।
মামলার নথি, ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই শিশু শিক্ষার্থী তার বাড়ির কাছের একটি বাগানে বুধবার দুপুরে কাঠ বাদাম টোকানোর জন্য যায়। এসময় নৈশ প্রহরী লম্পট দুলাল মোল্লা ওই শিক্ষার্থীকে একশত টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এতে ওই শিশু শিক্ষার্থী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন চলে আসায় লম্পট দুলাল মোল্লা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার লম্পট দুলাল মোল্লাকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী বলেন, লম্পট দুলাল মোল্লা আমার শিশু মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে। তাই আমি দুলাল মোল্লাকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি ওর বিচার চাই।
শিশু শিক্ষার্থীর চাচি বলেন, শিশুর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে এসে দুলাল মোল্লা ও র্শিশুটিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। আমাদের দেখে দুলাল মোল্লা পালিয়ে গেছে। ওর মত লম্পটের বিচার হওয়া উচিত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের আত্মীয় বলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের অপকর্ম আগেও দুলাল মোল্লা করেছে।
ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু রাফে বলেন, দুলাল মোল্লা এর আগেও এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়ে ছিলো। পরে মাদ্রাসায় বসে সামাজিকভাবে তার বিচার করা হয়েছে।
অভিযুক্তর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশ্রাফুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।