৭৪-৭৫ সালেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার পথ তৈরি করা হয়েছিল-শিবচরে চীফ হুইপ

শিব শংকর রবিদাস, মোহাম্মদ আলী মৃধা, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির ও মোঃ আবু জাফরঃ
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময়ও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আজকে যারা বিদেশীরা এদেশে ঘোরাঘুরি করে। বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়। বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৪-৭৫ সালেও এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। যার কারনে আমাদের খাদ্য(গম) জাহাজকে বাংলাদেশের মাটিতে আসতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশে দূর্ভিক্ষ তৈরি করা হয়েছিল যেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার একটি পথ তৈরি করা যায়। এখনও সেই একই জিনিস হচ্ছে। এখনো আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আমাদের দেশে আসতে দেখছি। বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার শিবচর উপজেলার মাদবরচরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ এসব কথা বলেন। এদিন চীফ হুইপ টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর(দাদাভাই) কবর জিয়ারত,মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎসহ শিবচরের বিভিন্ন ইউনিয়নে শোক দিবসের কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। কর্মসূচীগুলোতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আঃ লতিফ মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ শাজাহান মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চীফ হুইপ আরো বলেন, বিদেশীরা পাকিস্তানে যাচেছ না। পাকিস্তানে কোন গনতন্ত্র নেই, কোন নির্বাচন নেই। যে কোন প্রধানমন্ত্রীকে যেকোন সময় সরে যেতে হচ্ছে। সেখানে গনতন্ত্রের জন্য যাওয়া হচ্ছে না। আজকে ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে শরনার্থী হিসেবে রয়েছে। ওই বিদেশীরা মায়ানমার যাচ্ছে না। তাদেরকে বলছে না তোমরা সুস্থ নির্বাচন করো, তোমাদের লোকজন ফিরিয়ে দেশে আনো, দেশে শান্তি আনো, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জেল থেকে মুক্তি দাও। সেই কথা কেউ বলছে না। বলে শুধু আমাদের দেশে এসে। আমাদেরকে জ্ঞান দেয়া হচ্ছে কারন বাংলাদেশ উন্নত হয়ে যাচ্ছে। একটি ছোট জাতি, একটি ছোট দেশ, বেশি জনসংখ্যার দেশ শেখ হাসিনা কিভাবে এই দেশকে উন্নত করছে। এই যে একটি চমক এটা তারা বুঝতে পারছে । এই কারনে তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাই আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি জীবিত থাকে, সুস্থ্য থাকে, আবার যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলেই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। আর আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে যেতে পারবো।