শিবচরে নির্মানাধীন তাঁতপল্লী ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শনে বস্ত্র মন্ত্রী ও চীফ হুইপ লিটন চৌধুরী

মো: আবু জাফর ও হাসান মোল্লা :
পদ্মা সেতুর পাড়ে মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরা অংশে নির্মানাধীন শেখ হাসিনা তাতপল্লীর নির্মান কাজ বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি,চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। এসময় বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ,তাত বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোঃ নুরুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম মোস্তফা রাসেল,শিবচর পৌর মেয়র মোঃ আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ডা: মো: সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন মন্ত্রী ও চীফ হুইপ বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর এমপি বলেন, পদ্মা সেতুর সম্মুখভাগে গেটওয়েতে শেখ হাসিনা তাতপল্লী নির্মান হচ্ছে। আমরা দক্ষিনবঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন গড়তে চাই। পদ্মা সেতুর শুরুতেই যদি একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন থাকে তাহলে বেসরকারি খাত দেখে উদ্বুদ্ধ হবে। সেতুর পাড়েই সরকারেরই যেহেতু এত বড় প্রকল্প রয়েছে সেটি দেখে উদ্যোক্তারা ভাববে নিশ্চয়ই এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য । এখানে সহজেই পদ্মা সেতু ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যেহেতু কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই সেহেতু এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় বেসরকারি খাত খুজবে কোথায় কম মুল্যে জমি পাওয়া যায়। বিদ্যুতের ঘাটতি নেই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তাত পল্লীর সুযোগ সুবিধা দেখে প্রাইভেট সেক্টর উদ্বুদ্ধ হবে। আর এখানে তাঁতীদের জন্য আবাসন সুবিধা থাকবে। যাতে তারা পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করতে পারেন ও কাজ করতে পারেন। এখানে তাদেরকে দোকান ও তাঁত পন্যের মেলা করার জায়গা দেয়া হবে। সেই মেলায় দেশী, বিদেশী পাইকাররা এসে পন্য ক্রয় করবে।
গোলাম দস্তগীর এমপি তাত পল্লীতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর অবস্থান নেয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য চীফ হ্ইুপ নূর-ই-আলম চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীফ হুইপ মহোদয়ের কঠোর ভূমিকার কারনেই এ প্রকল্পে গড়ে উঠা হাজারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্ভব হয়েছে। এতে সরকারের শত শত কোটি টাকা রক্ষা পেয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় কমেছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরন অনুষ্ঠানে চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের এই পদ্মা সেতু রাজনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ন। এই সেতু বিরোধী দলগুলো করেনি কারন ফরিদপুরের সাথে ঢাকার দূরত্ব যেন কমে না যায়, ঢাকার আর ফরিদপুরের যেন এক না হয় সেই জন্য এটা রাজনৈতিক কারনেই করা হয়নি। পৃথিবীর অনেক দেশে কোন সমুদ্র বন্দর নেই। আর আমাদের এই দক্ষিনবঙ্গে পায়রা ও মংলা দুইটি বন্দর রয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর এই দক্ষিনাঞ্চলে। তাই দক্ষিনবঙ্গ বাংলাদেশের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক শক্তির অঞ্চল।