শিবচরে অফিস টাইম না মানলে চাকরি হারানোর হুশিয়ারি চীফ হুইপ লিটন চৌধুরীর

শিব শংকর রবিদাস, মোঃ আবু জাফর ও মিঠুন রায়ঃ
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন , অফিসিয়াল নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ বাসায় যাবেন না। চাকরি, চাকরিই। অফিস টাইম তিনটা তিনটাই। পৌনে তিনটার সময় বাসায় চলে যাবেন এটা কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু আপনারা চাকরি হারাবেন। একবার যদি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি তাহলে কিন্তু তদবিরেও কাজ হবে না। যার ছেলে মেয়েই হোন, যত পরিচিতই হোন, অফিসে না থাকলে এ্যাকশন নেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাদারীপুরের শিবচরে সরকারী ও বেসরকারী স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভায় চীফ হুইপ এসব কথা বলেন। এসময় সমস্যা চিহিৃতর লক্ষ্যে সমস্যা নিরসনে তাৎক্ষনিকভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক এর সিএইচসিপি,সভাপতি, জমিদাতা, চিকিৎসক, উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসক,কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধিদের মতামত শোনেন । ব্যতিক্রমধর্মী জবাবদিহিতামূলক এআয়োজনে চীফ হুইপ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে ২ মাসের সময় বেধে দেন। আসবাবসহ নানান সমস্যা সমাধানে নগদ অর্থ বরাদ্দ দেন ও কমিউনিটি ক্লিনিক এর সিএইচসিপিদের জন্য প্রশিক্ষনের নির্দেশ দেন সিভিল সার্জনকে।
জানা যায়, জেলার শিবচর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার সকালে নূর-ই-আলম চৌধুরী অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারী বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্টদের অংশ গ্রহনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় ওয়ার্ড পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায়ের সরকারী স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চিকিৎসক, বেসরকারী ক্লিনিক মালিকসহ স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট সকলে অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চীফ হুইপ শুরুতেই জনপ্রতিনিধিদের তার এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো কয়বার পরিদর্শন করেছে তা জানতে চান। এরপর তিনি একে একে আইএইচটির চিকিৎসক, কমিউনিটি ক্লিনিক এর সিএইচসিপি, চিকিৎসক,প্রাইভেট ক্লিনিক সংশ্লিষ্টদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করে সেবার মান যাচাই করেন। এসময় স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশায় চীফ হুইপ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী সবাইকে অফিস টাইম মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের ২ মাস সময় দেব। আপনারা আপনাদের পরিষ্কার পরিচ্ছনতা ঠিক করবেন। আমি এমনও দেখেছি রোগীরা রাস্তায় লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকে। এটা হবে না। আপনি যদি রোগী দেখতে চান। তাদের বসার ব্যবস্থা, বাথরুম ফেসিলিটি আপনাকে করতে হবে। সেবার মান বাড়াতে হবে। নিয়ম না মানতে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা এ মাসের মধ্যে ৪২ টা কমিউনিটি ক্লিনিকেই আসবাবপত্রসহ যে সমস্যা আছে তার জন্য অনুদান দিয়ে দেব।
এর আগে চীফ হুইপ ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জেলা পরিষদ আয়োজনে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দরিদ্র বেকার নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন করেন। এসময় মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রাজিয়া চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আ: লতিফ মোল্লা, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ডা: মো: সেলিম, জেলা সিভিল সার্জন ডা: মুনির আহমেদ, পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফাতেমা মাহজাবিন।