দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ায় শিমুলীয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করায় ২টি ট্রলার ও ১টি স্পীডবোট আটক করেছে নৌ পুলিশ

শিব শংকর রবিদাস, মো: আবু জাফর, মিঠুন রায়, অপূর্ব দাস ও কমল রায় ঃ
শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে লকডাউনে ফেরি সার্ভিস সম্পূর্ন বন্ধের সাথে ঘূর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে পদ্মা উত্তাল হয়ে উঠলেও এরইমাঝে অবৈধ ট্রলারে ও স্পীডবোটে চড়ে জীবনের চরম ঝূকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঘাটে শক্ত অবস্থান নেয়ায় ট্রলারগুলো পুরাতন মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে এসে ২ দফা চরে নেমে ভীড়ছে কাঠালবাড়ি ঘাটের দূরবর্ত্তী স্থানে পদ্মা সেতুর কাছে। পদ্মা নদী পাড়ি দিতে যাত্রী প্রতি খরচ হচ্ছে ৫-৬ শ টাকা। এদিকে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করায় ২টি ট্রলার ও ১টি স্পীডবোট আটক করেছে নৌ পুলিশ।
সরেজমিনে জানা যায়, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরিগুলোতে উভয়মুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড় থামাতে ৩ দিন ধরে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে অনেক যাত্রীকে ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে কোন ধরনের পরিবহন ও যাত্রী পার হতে দেয়নি পুলিশ। এসুযোগে দুপুরের দিক থেকে শিমুলিয়ায় স্থান পরিবর্তন করে পুরাতন মাওয়া ঘাট থেকে অবৈধ ট্রলার ছেড়ে আসা শুরু করে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার মাঝেও এ ধারা অব্যাহত ছিল। প্রতিটি ট্রলারেই ছিল উপচে পড়া যাত্রী। ট্রলারগুলো মাওয়া থেকে ছেড়ে জাজিরা, শিবচরের চরগুলো ব্যবহার করে ২ দফা ট্রলার পরিবর্তন করে পদ্মা সেতুর কাছে শিবচর ও জাজিরার সীমানায় বুড়ার খেয়া ঘাট এলাকাগুলোতে যাত্রী নামায়। ট্রলারে যাত্রী প্রতি ৫ থেকে ৬শ টাকা আদায় করা হয়। সাথে যোগ হয়েছে স্পীডবোটও । স্পীডবোটে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা। যাত্রীরা পদ্মা পার হয়ে বুড়ার খেয়া ঘাট থেকে পরে ঈজিবাইক মটরসাইকেলে চড়ে বরিশাল ,খুলনাসহ দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে ৫/৬ গুন ভাড়া খরচ করে ছুটছে । এদিকে বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করায় ২টি ট্রলার ও ১টি স্পীডবোট আটক করেছে নৌ পুলিশ।
খুলনাগামী ট্রলার যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল সাতটায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে অনেক কষ্ট করে চর দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে আরেক চর থেকে ট্রলারে উঠে ৭ শ টাকা ভাড়া দিয়ে বিকেল তিনটায় পদ্মা পার হয়েছি।
স্পীডবোট যাত্রী রহমান বলেন, গাজীপুর থেকে এসেছি বরিশাল যাবো। আসার পথে সিএনজি ও ঈজিবাইকে চড়ে প্রায় ৩ গুন ভাড়া দিয়ে মাওয়া ঘাটে আসি। সেখানের এক চর থেকে স্পীডবোটে দেড়শ টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকার চর বুড়ার ঘাটে এসে মোটরসাইকেলে ১২শ টাকা ভাড়া দিয়ে বরিশাল যাচ্ছি।
কাঁঠালবাড়ি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো: আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন, ফেরি, লঞ্চ, স্পীডবোট বন্ধ থাকায় মাওয়া ঘাট এলাকার চর থেকে কিছু অবৈধ ট্রলার ও স্পীডবোট যাত্রী বোঝাই করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের দূরবর্তী বুড়ার খেয়া ঘাট এলাকায় ভীড়ছিল। অভিযান চালিয়ে আমরা একজন স্পীডবোট চালক ও দুইজন ট্রলার চালককে আটক করেছি। এর আগে যাত্রী বোঝাই একটি বাল্ককেট আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।