শিবচরে স্ত্রী হত্যার ২৫ বছর পরে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি:
শিবচরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মামলার দীর্ঘ ২৫ বছর ৯ মাস ১৪ দিন পর স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার বেলা ১টার দিকে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসাইন এ রায় দেয়। তবে মামলার আসামী স্বামী গোবিন্দ্র চন্দ্র পাল পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯৯৬ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রামরায়ের কান্দি এলাকার স্ত্রী মিলানী রানী পালকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী গোবিন্দ্র চন্দ্র পাল। পরের দিন সকালে স্বামী পালিয়ে গেলে শিবচর থানা পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠান। পরবর্তীতে একই মাসের ৯ ডিসেম্বর স্বামীকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন শিবচর থানার এসআই আব্বাস উদ্দিন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী স্বামীকে দোষী করে চার্জশীট দাখিল করেন একই থানার এসআই নাজমুল হক। এঘটনায় স্বামী পলাতক থাকায় সাক্ষীদের জবানবন্দি শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পরে রায় দেয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মো. ইসমাইল হোসাইন মামলার রায় দেন। আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সেই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে রাষ্টপক্ষ ও নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, দীর্ঘ দিন পর হলেও আসামীকে সাজা দিতে পেরে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ হয়েছি। তবে করোনা মহামারি না থাকলে আরো কয়েক বছর আগে রায় দেয়া যেতো। তাছাড়া আসামী পলাতক থাকায় ও স্বাক্ষীদের উপস্থিত করাতে বিলম্ব হওয়ায় রায়ে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে। তারপরেও এই রায়ে আমরা ন্যায় বিচার দিতে পেরেছি। মামলার হওয়ার সূচনা থেকেই আসামি পলাতক রয়েছেন। পুলিশ কখনোই আসামিকে আদালতে হাজির করতে পারেনি। আমাদের ধারণা, সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি দেশে নেই। তাকে খুজে বের করে আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে আসামির সাজা কার্যকর হবে।’