শিবচরে রেল সংযোগ প্রকল্পে এক চেকে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১

শিবচর বার্তা ডেক্সঃ
শিবচরে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় মাাদরীপুর সদর থানায় গতকাল বুধবার মামলা হয়। এ মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার নথি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার ডাউয়ারচর মৌজার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ০৫/২০১৯-২০২০ নং এলএ কেসের ৬৪১ নং দাগের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে একটি প্রতারক চক্র ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তেলন করে। পরে জমির প্রকৃত মালিক হারুন বেপারী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনে নির্দেশে মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অফিস সহকারী সোহাগ মোল্লা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মফিতুল্লাহ হাওলাদার কান্দি গ্রামের নাজির বেপারীর ছেলে শাহিন বেপারী (৫৬), দত্তপাড়া গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে আলী জামান (৫৫) ও আক্তারুজ্জামান (৪৫) এবং বাঁচামারা গ্রামের নাসির উদ্দিন এবং দত্তপাড়া খা কান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে নজরুল খাকে (৩৫) আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান আসামি শাহিন বেপারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মামলার বাদী সোহাগ মোল্লা মামলা নথিতে দাবি করেন, আসামিরা এক কোটি আটাশি লাখ চৌদ্দ হাজার তিনশ টাকা প্রতারনামূলকভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। প্রকৃত পক্ষে আসামিদের ওই দাগে কোনো সম্পত্তি নেই। বিভিন্ন প্রকার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ হারুন বেপারী বলেন, আমি আমার মালিকানাধীন জমি বিল তুলতে গেলে বিভিন্ন ধরেন হয়রানির শিকার হই। প্রায় তিন বছর ধরে আমাকে ঘুরানো হচ্ছে। পরে জানতে পারি আমার জমির বিল একটি প্রতারক চক্র নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই। এছাড়া দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
মাদারীপুর সদর থানার র্ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতারনা করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ একটি মামলা হয়েছে। মামলায় একটি আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। বাাক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ভুমি অধিগ্রহণে প্রতারনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে। এরিমধ্যে ভুমি অধিগ্রহণ শাখার কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।