বিএনপি ২০০১ সালে হিন্দুদের উপর নজিরবিহীন অত্যাচার করেছে ,আওয়ামীলীগ আমলে উৎসবমুখর সকল ধর্মীয় উৎসব-চীফ হুইপ লিটন চৌধুরী

মিঠুন রায়, অপূর্ব দাস,কমলেশ ধর ও মোঃ হাসান মোল্লা
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন একসময় বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীও এটা চান যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। আনন্দ উৎসব করবে। যার যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে তাতে আমরা সবাই অংশগ্রহন করবো। সেটাই এখন আপনারা করতে পারতেছেন শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকার কারনে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নজিরবিহীন অত্যাচার করে। তাদের ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দেয়। মন্দিরে পূজা করতে দেয়া হয় নাই। সেই পরিবেশ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনে উত্তরন করতে সমর্থ্য হয়েছি। সারাদেশে এখন আনন্দ উৎসবের সাথে পূজা পার্বন পালিত হচ্ছে। মুসলমান,খ্রীস্টানসহ সবাই যার যার ধর্ম শান্তিপূর্নভাবে পালন করে। শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে শিবচরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ এসব কথা বলেন । মঙ্গলবার চীফ হুইপ শিবচর সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ জিউর মন্দির, ভদ্রাসন সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, কাচিকাটা বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব ঘোসের বাড়ি দূর্গা মন্দির ও পাচ্চর সার্বজনীন হরিসভা দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। এসময় মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন ,পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম পিপিএম, উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজীবুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন খান । আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শংকর চন্দ্র ঘোস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রশান্ত রাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি স্বপন রায়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও প্রেস ক্লাব সাধারন প্রদ্যুৎ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত পাচ্চর হরিসভা দূর্গা পূজার মঞ্চ মাতালেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী গামছা পলাশ ও মৌসুমি ইকবাল। এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন চীফ হুইপসহ অতিথিরা।
চীফ হুইপ আরো বলেন, একটা চক্র আছে যারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। চক্রটি চায় যখনই পূজার সময় আসে তখনই একটি ঘটনা ঘটিয়ে সারাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি করতে। দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি, বিদেশী প্রভুদের খুশি করার জন্য চক্রটি ঘটনাগুলো ঘটায়।