উদ্ধার হয়নি কাটা পা, খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে শোকে পাথর স্ত্রী ও মেয়েরা রাস্তায়, মানববন্ধন বিক্ষোভ

মিশন চক্রবর্ত্তী :
এক পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে আলোচিত দাদন চোকদার হত্যার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ কাটা পা উদ্ধার করতে পারেনি। আর মামলা হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে খুনিরা। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নিহত দাদন চোকদারের স্ত্রী, তিন মেয়েসহ স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
জানা যায়, শিবচরের আলোচিত দাদন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে শুক্রবার সকালে শিবচর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্ত্রী, মেয়েসহ স্বজন ও এলাকাবাসী। ৫ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধনে স্বজনরা দ্রুত দাদন চোকদারের কাটা পা উদ্ধার করা ও খুনি সেলিম শেখ, মেহেদি মাদবর, নজরুল শেখ, মিরাজ শেখ, রাকিব শেখ, মহসিন মুন্সীসহ খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান। মানববন্ধনে নিহত দাদন চোকদারের স্ত্রী রুবি বেগম, ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে সোহানী আক্তার, ৮ বছর বয়সী আফরোজা আক্তার ও ৫ বছর বয়সী অযুফা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) শিবচর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের দাদন চোকদার শিবচর বাজার থেকে অটোতে বাড়ি ফিরছিল। একই গ্রামের সেলিম শেখের বাড়ির সামনে আসলে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে সেলিম শেখসহ ১০/১৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে দাদন চোকদারের শরীর থেকে বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে গুরুতর আহত করে। মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে শিবচর ও পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় পরদিনই নিহতের ভাই পান্নু চোকদার বাদী হয়ে ২৮ জনকে আসামী করে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তিন দিন পার হলেও এখনো পুলিশ দাদন চোকদারের কাটা পা উদ্ধার করতে পারেনি। আর খুনিদেরও ধরতে পারেনি।
নিহতের বড় মেয়ে সোহানী আক্তার বলেন, আমার বাবাকে সেলিম শেখসহ ওরা সবাই মিলে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এক পা কেটে নিয়ে গেছে। এখনো পুলিশ কাটা পা উদ্ধার করতে পারেনি। আর খুনিদেরও ধরতে পারেনি। দ্রুত খুনিদের ধরে যেন ফাঁসি দেওয়া হয় এটাই আমাদের দাবী।
সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো: আনিসুর রহমান বলেন, দাদন চোকদারকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। খুব শীঘ্রই আসামীরা গ্রেফতার হবে।