মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে গভীর নলকূপ খননকালে গ্যাস নির্গত হয়ে জ্বলছে আগুন। যা দু‘দিনেও বন্ধ করা যায়নি। এ ঘটনা দেখতে ঘটনাস্থলে ভীড় করছেন উৎসুক জনতা। জেলার রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামের মাহফুজ ফকিরের বাড়ির পিছনে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামের মাহফুজ ফকিরের বাড়ির পেছনে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেন তিনদিন আগে। মঙ্গলবার বিকেলে নলকূপ স্থাপনের জন্য ৯৫ ফুট গভীরে পাইপ প্রবেশ করামাত্র পাইপগুলো ঠেলে উপরে উঠে আসতে শুরু করে। বারবার চেষ্টা করেও পাইপ প্রবেশে ব্যর্থ হন শ্রমিকরা। হঠাৎ পানির সাথে বের হতে থাকে গ্যাস। সেখানে দেশলাই বা লাইটার ফায়ার করামাত্র আগুন জ্বলে উঠছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না তারা। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনে জানালে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। ভেজা কাপড় দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন তারা। একাধিকবার চেষ্টার পরে এক পর্যায়ে আগুন বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার ভোর থেকে আবারো আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনা দেখতে ভীড় করছেন এলাকাবাসী। দু‘দিনেও আগুন বন্ধ না হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মাহফুজ ফকির বলেন, ‘বাড়ির পেছনে নলকূপ বসাতে গেলে গ্যাসের সাথে আগুন বের হয়। এটি যেখানে হচ্ছে, তার পাশেই বাড়ি ও আশপাশের লোকজনের হাঁটাচলার রাস্তা। দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলা থেকে রাতে আরো বেশি আকারে গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে। বিষয়টি এখনই নিয়ন্ত্রন করা না গেলে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বাজিতপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য তাঁরা মিয়া বেপারী বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। শিগগিরই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দায়িত্ব কোথাও শুধু আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রন করা। এর বাইরে কোন দায়িত্ব নেই। গ্যাস থেকে আগুন জ্বলছে শুনে ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে নেভানো হয়েছে। বিষয়টি কন্ট্রোলকে জানানো হয়েছে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে।’