মাদারীপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বন্ধু গ্রেফতার

মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে দেখা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পডুয়া স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ভাবে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ২ ধর্ষক বন্ধুকে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে রাজৈর পৌর শহরের পশ্চিম রাজৈর গ্রামের কুন্ডুবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেনÑ রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার এসকান্দার ফকিরের ছেলে শামীম ফকির ওরফে হাসান (২০) ও একই এলাকার পাট্টু মোল্লার ছেলে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বি (১৭)।
এর আগে গত শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা ও রাজৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী শাখারপাড়ের ব্রীজের কাছের একটি ছোট্ট বাগানে ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গ্রেফতারকৃত হওয়া দুই তরুণ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ১ জানুয়ারি রাজৈর থানায় আসামী শামীম ফকির ও ইয়াসিন মোল্লাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর সাথে কয়েকদিন আগে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় পশ্চিম রাজৈর এলাকার শামীম ফকির ওরফে হাসান নামের ওই তরুণের সাথে। সে পেশায় একজন ইজিবাইক চালক হলেও প্রেমের সময় সে নিজেকে কলেজ পড়–য়া ছাত্র হিসেবে ওই ছাত্রীর কাছে পরিচয় দেয়। গত শনিবার বিকেলে দেখা করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় ব্রীজ এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় শামীম ফকির ওরফে হাসান। এসময় হাসানের সাথে ছিলো তার বন্ধু আরেকজন ইজিবাইক চালক ইমন মোল্লা ওরফে রাব্বি। দেখা করতে গেলে ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে ব্রীজের পাশের একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে দুই বন্ধু। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই বন্ধু মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের স্বজনরা ৩১ ডিসেম্বর রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রাজৈর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন আরো বলেন, ছেলে দুটি নিজেদের আসল নাম পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটির সাথে ফোনে কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ওই দুই আসামীকে গ্রেফতার করি। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।