মাদারীপুরে বৃদ্ধা মাকে রাস্তায় ফেলে গেল সন্তান

মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরের তাঁতীবাড়ী এলাকায় এক শতবর্ষী বৃদ্ধাকে রাস্তর পাশে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার সন্তানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধার নাম জানা না গেলেও তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকায়। তবে তিনি অসুস্থ্য হওয়ায় আর কিছু বলতে পারছেন না। এলাকাবাসী, সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতায় বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৮অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের তাঁতিবাড়ি ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ওই বৃদ্ধাকে ফেলে যান তার সন্তানেরা। এলাকবাসী তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি বাড়িতে খাবার দেয়। তবে গত দুইদিন আগে সড়কের একটি ভ্যান গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে আহত হন বৃদ্ধা। এরপর কারো সাথে কথা বলতে পারছেন না। স্থানীয়রা তাকে খাওয়া দাওয়া করার ব্যবস্থা করলেও সন্তানের সাথে রাগ করে কারো সাথে কোন কথা বলছেন না এবং পানি ছাড়া তিনি কিছু খাচ্ছেন না। এ অবস্থায় স্থানীয়রা সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সরোয়ার জানান, “গত শুক্রবার দুপুরে একটি ভ্যানে করে একটি ছেলে এই বৃদ্ধাকে স্কুলের নিকট ব্রীজের পাশে রেখে যায়। কিন্তু ভাবতে পারিনি যে এই বৃদ্ধা মাকে ফেলে রেখে গেছে। তবে বিকালে তাকে দেখে তার কাছ থেকে জানতে পারি তাকে তার সন্তান খাবার আনার কথা বলে রেখে গেলেও ছেলে আর ফিরে আসেনি। বৃদ্ধা শুধু বলতে পারেন তার বাড়ি আমগ্রাম এলাকায়।”
স্থানীয় এলাকার রহিমা বলেন, “আমি প্রথমদিন তাকে খাবার দিয়েছিলাম। কিন্ত পরদিন থেকে এক কাপ চা ছাড়া আর কিছু খায়নি এবং কারো সাথে কথা বলতে চায় না। শুধু বলেন আমার কেউ নাই। তাছাড়া তিনি দ্ইুদিন আগে ভ্যানের সাথে ধাক্কা লেগে আহত হন। এরপর তার কথা বোঝা যাচ্ছে না। আমরা ওই পাষন্ড সন্তানের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।”
মাদারীপুর সদর হাসপতালের মেডিকেল অফিসার মো. বদরুজামান সম্রাট জানান, ওই বৃদ্ধাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি।”
মাদারীপুর সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মনোয়ার চৌধুরী বলেন, “আমাকে এক সাংবাদিক ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে পরামর্শ চাইলে আমি ফোর্স পাঠিয়ে বৃদ্ধা মহিলাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এখন তার ঠিকানা ও পরিচয় জানার চেস্টা করছি।”