মঞ্চ হবে পদ্মা সেতুর আদলেই , বাংলাবাজার জনসভাস্থলে এলজিইডি মন্ত্রী ও চীফ হুইপ

মো: আবু জাফর, মিঠুন রায়, অপূর্ব দাস ও মিশন চক্রবর্ত্তী :
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল শিবচরের বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাট পরিদর্শন করেছেন এলজিইডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ জনসভাস্থলের সর্বশেষ অগ্রগতি ছাড়াও আগত মানুষের স্যানিটেশন,পানীয় ব্যবস্থা,সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অগ্রগতির খবরাখবর নেন। এসময় চীফ হুইপ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান জনসভাস্থলের মঞ্চ নির্মান হচ্ছে পদ্মা সেতুর আদলে। এসময় এলজিইডি মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আ: লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান, ওসি মো: মিরাজ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ডা: মো: সেলিম, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, আর পদ্মা সেতুর আদলেই জনসভাস্থলের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানের সবকিছুই পদ্মা সেতুর আদলে হবে।
চীফ হুইপ আরো বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শিবচরের মাটিতে হওয়ায় আমরা সৌভাগ্যবান এবং তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এত সুন্দর একটি স্থান যে একদিকে নদী, একদিকে পাকা রাস্তা এবং পাকা জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টির জন্যও জনসভার কোন সমস্যা হবে না। আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীরা, কর্মকর্তারা এখানে পরিদর্শনে আসছেন। আশা করি কোন ধরনের কোন সমস্যা হবে না। আর নিরাপত্তাতো অবশ্যই আছে। বৃহত্তর বরিশালসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে অনেক মানুষ লঞ্চে আসবে। লঞ্চে যারা আসবে তাদের খুব বেশি হলে ১ শ গজ হাঁটতে হবে জনসভাস্থলে আসতে। উদ্বোধনের পরে এই মঞ্চেই আমরা ৭ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবো। আরো কিছু চমক থাকবে। আমরা মনে করি যারা পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখবে না তারা অনেক কিছু মিস করবে।
এলজিইডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মান করতে গিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেছেন। সকল প্রতিকূলতাকে তিনি অত্যান্ত সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করে আজকে পদ্মা সেতু নির্মান করেছেন। আগামী ২৫ জুন তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এখানে ১৫-২০ লাখ মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে রাস্তা ঘাটের সকল সমস্যা সমাধান করা হবে। আর জনসভাস্থলে ৫ শ টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষ সুপীয় পানি যাতে পান করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এই জনসভার দেখভাল করছেন। তিনি নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম দেখভাল করছেন। আমরা যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে জনসভাকে সফল করতে মানুষের ব্যপক আগ্রহ রয়েছে। আম্যাজান নদীর পরেই পদ্মা নদী খর¯্রােতা। এমন খর¯্রােতা নদী খুব কমই আছে। এই ¯্রােতা নদীতে সেতু করার সাহস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন। এ্যামাজনেও সেতু করার সাহস কেউ দেখাতে পারেনি। এই সেতুর মাধ্যমে দুই অঞ্চলের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এই সেতুর কারনে দক্ষিনাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার সাথে সাথে সারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থারই পরিবর্তন হবে।