পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে ট্রলার বিকল, ৯৯৯ ফোনে উদ্ধার ৩৬ যাত্রী

শরীয়তপুরের নড়িয়ার নোয়াপাড়া থেকে ৩৬ জন যাত্রী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে রওনা দেন পদ্মা সেতু দেখার জন্য। একপর্যায়ে তাদের নৌযানটি বিকল হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং নদী ছিল উত্তাল। এ অবস্থায় কোনো উপায় না পেয়ে বিকল নৌযানের এক যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান। খবর পেয়ে মাওয়া ঘাটের নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি উদ্ধারকারী দল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকল নৌযানটি উদ্ধারকারী নৌযানের সঙ্গে বেঁধে যাত্রীসহ নিরাপদে তীরে নিয়ে আসে।

বুধবার (১১ মে) বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৮টার দিকে সাত-আট বছর বয়সী সাত শিশুসহ ৩৬ জন যাত্রী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে শরীয়তপুরের নড়িয়ার নোয়াপাড়া গ্রামের জয় বাংলা বাজার থেকে রওয়ানা দেন পদ্মা সেতু দেখতে। সারাদিন বিভিন্ন স্থান ঘোরাঘুরি করে দুপুরে তারা পদ্মা সেতুর কাছে পৌঁছান এবং সেতুর বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। একপর্যায়ে তাদের নৌযানটি বিকল হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং নদী ছিল উত্তাল। কোনো উপায় না পেয়ে বিকল নৌযানের এক যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধার করতে অনুরোধ জানান।

৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল বিপুল রঞ্জন ঘোষ কলটি রিসিভ করে তাৎক্ষণিকভাবে নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং মাওয়া ঘাটের নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। পরে ৯৯৯-এর ডিসপাচার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপন কুমার মণ্ডল কলার ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে মাওয়া ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি উদ্ধারকারী দল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকল নৌযানটি উদ্ধারকারী নৌযানের সঙ্গে বেঁধে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার করা যাত্রীদের মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে রাত যাপনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এরপর বুধবার (১১ মে) সকালে তাদের বিকল নৌযানটি মেরামত করে নড়িয়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়।