মাদারীপুরে সরকারি রাস্তার কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ

কালকিনি প্রতিনিধি :
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি সরকারি রাস্তার কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারের লোকজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার সিডি খান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় শাজাহান সিপাহির বাড়ির রাস্তা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ি জেলা গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কালকিনি উপজেলার সিডি খান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় শাজাহান সিপাহির বাড়ির ৯০ মিটার রাস্তা নির্মানের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ লক্ষ ৭১ হাজার ১ শ ৬৭ টাকার টেন্ডার দেয় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। পরে ঠিকাদার তার লোকজন নিয়ে ওই টেন্ডারকৃত সরকারি রাস্তা নির্মানের জন্য যান। এতে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় প্রভাবশালী মারফত আলী শিকদার, হেমায়েত শিকদার, তুষার শিকদার, তারেক শিকদার, এশাম ও রুবেল শিকদার। এ সরকারি কাজে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কালকিনি থানার এসআই হাসিব ও মিলন মিয়াসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি বলেন, আমাদের লোকজন সরকারি রাস্তা করতে গেলে সেখানের প্রভাবশালীরা বাধা প্রদান করে ও তাদের মারধর করেন। রাতে সেখান থেকে আমাদের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। তাই আমি তাদের নামে মামলা করবো।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপসম্পাদক এসএম শতকাত হোসেন বলেন, আমি এলাকার গর্ভবতী মা ও বিভিন্ন রোগীদের কথা চিন্তা করে সিডি খান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় শাজাহান সিপাহির বাড়ির রাস্তা নির্মানের জন্য আমার নিজের জমি দান করে দিয়েছি। সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মানের জন্য ঠিকাদার কাজ করতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক বাধা প্রদান করে আসছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
স্থানীয় বাধা প্রদানকারী রুবেল শিকদার বলেন, আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা করতে দেয়া হবেনা। তাই আমরা বাধা প্রদান করছি।
কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, সরকারি রাস্তার কাজে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।